"সময়ের এক ফোঁড়, অসময়ের দশ ফোঁড়"।
ভাবছেন হঠাৎ প্রবাদ বাক্য পড়ানো কেন শুরু করছি! বলছি এই কারণে আমাদের শরীরে অনেক সময় অনেক পরিবর্তন দেখা দেয় যা ভবিষ্যতে কোন জটিল রোগের ইঙ্গিত করে।
কিন্তু প্রায় সময় দেখা যায় আমরা যতক্ষণ না পর্যন্ত কোন রোগ পুরোপুরি শরীরে বাসা বাঁধছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই সকল পরিবর্তনকে খুব একটা আমলে নেয় না। এক সময় এসে দেখা যায় আর করার কিছুই থাকেনা।
” Dakter Achen” ব্লগে আমরা বিশ্বাস করি যে আমাদের পাঠকদের এমন লক্ষণগুলো সম্পর্কে বলা গুরুত্বপূর্ণ যেগুলো খুব গুরুতর কোনো কিছুর ইঙ্গিত হতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।
স্ক্যালোপড জিহ্বা
স্ক্যালোপড জিহ্বা এমন একটি অবস্থা যেখানে জিহ্বার প্রান্তগুলি পাই ক্রাস্টের মতো দেখায়। মূলত, এর অর্থ জিহ্বা নীচের চোয়ালের চেয়ে বৃহত্তর দেখায়।চোয়ালের ট্রমা না থাকলে এই অবস্থাটি সাধারণত ফোলাভাবের কারণে ঘটে।
ফোলা ডিহাইড্রেশন এর কারণ হতে পারে। যদি অন্যান্য উপসর্গ যেমন: ব্যথা, ক্র্যাম্পস, চুল পড়া, লো ব্লাড প্রেসার এবং ক্ষত দেখা যায় তবে এটি থাইরয়েড ডিসঅর্ডারের লক্ষণ হতে পারে।
নখের উপর কালো দাগ
নখ আমাদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে অনেক কিছু প্রকাশ করে। কিছু লোকের স্বাভাবিকভাবেই খুব ঘন বা পাতলা নখ থাকে তবে হঠাৎ যদি নখের কাঠামো বা বর্ণের কোনো পরিবর্তন ঘটে তবে পরীক্ষা করা উচিত।
নখের উপর গাঢ় কালো দাগ মেলানোমার লক্ষণ হতে পারে। কোন রকম আঘাত ছাড়াই যদি এমন দাগ দৃশ্যমান হয় তবে বিশেষজ্ঞের দ্বারা এটি পরীক্ষা করা উচিত।
ত্বকে কালো দাগ
যদি হঠাৎ বগলের বা ঘাড়ের নীচে ভাঁজ পড়ে বা বাদামি বা হলুদ রঙের প্যাচ বা ফুলে যাওয়া অনুভূত হয় তবে এই লক্ষন গুলোকে হালকা ভাবে নেবেন না। শরীরে ইনসুলিন সঠিক পরিমাণে উৎপন্ন না হলে এই লক্ষণ সমূহ দেখা দেয় যেটিকে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের প্রধান কারণ হিসেবে ধরা হয়।
আঙুলে ব্যথা
ঘন, সংবেদনশীল, আঙুলে ব্যথা, আঙুলে ফোলা ফুসফুস ক্যান্সারের লক্ষণ হতে পারে। ফুসফুসের টিউমারগুলি বিকশিত হওয়ার সাথে সাথে তারা রক্তের প্রবাহে এমন কিছু রাসায়নিক ছেড়ে দেয় যা নখের নীচে এবং নখদর্পণে টিস্যু বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করে, ফলে ব্যথার সৃষ্টি হয়।
আপনি যদি নিজের আঙ্গুলগুলোকতে ঘন ঘন ফোলাভাব অনুভব করেন তবে পরীক্ষা করাতে ভুলবেন না। পরে অনুতপ্ত হওয়ার চেয়ে সময় থাকতে নিরাপদ থাকা উচিত।
ত্বক ও চোখের সাদা অংশ হলুদ হওয়া
ত্বক বা চোখের সাদা অংশে হলুদ রঙ হল লিভারের সমস্যা ইঙ্গিত করে। বিলিরুবিন নামক রাসায়নিক রক্তে জমা হলে চোখ হলুদ রং ধারণ করে। হলুদ বর্ণটি লক্ষ্য করার সাথে সাথে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। কারণ প্রাথমিক রোগ নির্ণয় গুরুতর স্বাস্থ্যগত জটিলতা রোধ করতে পারে।
ডার্ক সার্কেল
যদি পর্যাপ্ত ঘুম না হয়, অপরিমিত ডায়েট বা অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করি, তখন আমাদের চোখের চারপাশের ফ্যাট টিস্যু পরিবর্তিত হয় এবং আমাদের ত্বক আরও পাতলা হয়ে যায়।
ফলে চোখের চারপাশে কালো দাগের সৃষ্টি হয়। এ দাগগুলো দূর করার জন্য সাধারণত চিকিৎসার প্রয়োজন হয় না। নিজের প্রতি যত্ন হলো এই সমস্যার একমাত্র সমাধান।
ব্রণ থেকে রক্তপাত
আমাদের সবারই মুখে কমবেশী ব্রণ হয় আবার কয়েমদিন পর তা চলেও যায়। যদি ব্রণ দীর্ঘসময় পরেও নিরাময় না হয়, তা থেকে যদি রক্তপাত শুরু হয় তবে পরীক্ষা করা উচিত কারণ এটি বেসাল সেল কার্সিনোমার লক্ষণ হতে পারে।
এতে ভীতিগ্রস্ত হওয়ায় কারণ নেই। যদি প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করা হয় তবে এই সমস্যাটির দ্রুত সমাধান লাভ করা যায়।
যদি এমন কোন লক্ষণ সম্পর্কে কী আপনি ক জানেন যেগুলো সম্ভাব্য স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে তবে আমাদের কমেন্ট সেকশনে জানাতে ভুলবেন না।
Recent Comments